কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যাঃ দুই আসামী বন্দুকযুদ্ধে নিহত
কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ হত্যা মামলার দুই আসামি সংরাইশ ও নবগ্রামে অবস্থান করছে— এমন তথ্যে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এতে অংশ নেয় কোতোয়ালি মডেল থানা ও ডিবি পুলিশের একাধিক টিম।
সন্ত্রাসীদের গুলিতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাহিদুজ্জামান চৌধুরী,কুমিল্লা হতেঃ
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ হত্যার কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। আলোচিত এই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নভেম্বর ৩০,২০২১ইং সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর সংরাইশ গোমতী বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন— মামলার ৩ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন ও ৫ নম্বর আসামি মো. সাজেন।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল আজিম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Two accused of killing councilor in Comilla killed in gunfight
তিনি জানান, কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ হত্যা মামলার দুই আসামি সংরাইশ ও নবগ্রামে অবস্থান করছে— এমন তথ্যে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এতে অংশ নেয় কোতোয়ালি মডেল থানা ও ডিবি পুলিশের একাধিক টিম।
বালুমহলের কাছে সংরাইশ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের কাছে ডিবি ও থানা পুলিশের দল পৌঁছলে আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুমিল্লা ডিবির এসআই পরিমল দাস বলেন, সন্ত্রাসীদের গুলিতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি ৭.৬৫ পিস্তল, একটি পাইপগান, তাজা গুলি ও গুলির খোসা জব্দ হয়েছে। স্থানীয়রা তাদের কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ হত্যার আসামি বলে শনাক্ত করেন।
সরকারি কাজে বাধা, হত্যা ও অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।উল্লেখ্য, ২২ নভেম্বর বিকালে কাউন্সিলর সোহেলসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ছয়জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোহেল ও তার সঙ্গী হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়।
এর প্রেক্ষিতে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় ১০-১২ জনকে। আলোচিত এ মামলায় এ পর্যন্ত ০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে । তারা হলেন— মো. মাসুম, মো. সুমন, আশিকুর রহমান রকি, আলম মিয়া ও জিসান মিয়া। মামলার এজাহারের বাহিরে রাব্বি ইসলাম নামের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্রাইম ডায়রি // ক্রাইম