আদম তমিজি হককে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদ: যা জানালেন ডিবি প্রধান

তার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা হয়। আনিছুর রহমান নাঈম নামে এক ব্যক্তি এ মামলা করেন।

আদম তমিজি হককে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদ: যা  জানালেন ডিবি প্রধান
ছবি-ক্রাইম ডায়রি
তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট তিনি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে স্যোশাল মিডিয়াতে দেখাচ্ছেন। যে দেশে তার শিল্প কারখানা রয়েছে, তা দিয়ে তিনি চলেন, সেই দেশের পাসপোর্ট তিনি পুড়িয়ে ফেললেন। আমি মনে করি এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র।
অনলাইন ডেস্ক:
অনেক আলোচনা ও সমালোচনার পর অবশেষে  নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজি হক যদি মানসিক রোগী হন তাহলে তাকে রিহ্যাবে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। শনিবার রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, আসলে  তাকে যদি বাংলাদেশ সরকার গ্রেফতারই করতো তাহলে তমিজি হক যখন এয়ারপোর্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করলেন তখনই তাকে আটকাতে পারতাম। কিন্তু দেখা গেল এয়ারপোর্ট দিয়ে এসে পাগলামি শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে ফেসবুক লাইভে এসে আদম তমিজি হক বলা শুরু করলেন, তার মা হাফ ইসরাইলি এবং তিনি ইসরাইল সরকারকে আহ্বান করলেন তাকে উদ্ধার করার জন্য। আবার তিনি আমেরিকান মেরিন সেনাদের আহ্বান করেন বাংলাদেশ তাকে আটকে রাখা হয়েছে, তাকে উদ্ধার করতে।
হারুন অর রশীদ বলেন, শুধু তাই নয় তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট তিনি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে স্যোশাল মিডিয়াতে দেখাচ্ছেন। যে দেশে তার শিল্প কারখানা রয়েছে, তা দিয়ে তিনি চলেন, সেই দেশের পাসপোর্ট তিনি পুড়িয়ে ফেললেন। আমি মনে করি এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র।এরপরও আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করব- কেন তিনি সরকারের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ও পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলে আনন্দ উল্লাস করছেন।
এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম শনিবার সন্ধ্যায় আদম তমিজি হককে গুলশানের বাসা থেকে আটক করা হয়। জানা গেছে, আদম তমিজি হকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা রয়েছে। যে ভিডিও গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে একটি সার্চ ওয়ারেন্টও আছে। এর আগে ১৬ ও ১৭ নভেম্বর রাতে আদম তমিজি হকের গুলশান-২ এর ১১১ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাসায় যায় র‌্যাব সদস্যরা।
তার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা হয়। আনিছুর রহমান নাঈম নামে এক ব্যক্তি এ মামলা করেন। যা ১৫ নভেম্বর এজাহারভুক্ত হয়। এরই প্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়।
ক্রাইম ডায়রি// আইন শৃঙ্খলা