সাবেক এসপি বাবুল আক্তার তার স্ত্রী হত্যা মামলায় গ্রেফতারঃ অন্যায় করলে কারও ছাড় নেই

Former SP Babul Akter arrested in murder case of his wife: No one is spared if he does wrong

সাবেক এসপি বাবুল আক্তার তার স্ত্রী হত্যা মামলায় গ্রেফতারঃ অন্যায় করলে কারও ছাড় নেই

মনে আছে , পুলিশের জাদরেল এসপি বাবুল আক্তার এর কথা? কি তার দাপট! কিন্তু নিয়তির খেলায় যে হাতে হাজার হাজার অপরাধীকে নাস্তানাবুদ করেছেন এবং যিনি ছিলেন মাদক ব্যবসায়ীদের আতংক সময়ে হেরফেরে তার হাতেই হাতকড়া। এজন্য গর্ব অহংকারের আসলে কিছুই নেই। মহান আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছে ইজ্জত দেন আবার ইজ্জত ছিনিয়েও নেন। 

জুয়েল মাঝি,চট্টগ্রাম হতেঃ

মনে আছে , পুলিশের জাদরেল এসপি বাবুল আক্তার এর কথা? কি তার দাপট! কিন্তু নিয়তির খেলায় যে হাতে হাজার হাজার অপরাধীকে নাস্তানাবুদ করেছেন এবং যিনি ছিলেন মাদক ব্যবসায়ীদের আতংক সময়ে হেরফেরে তার হাতেই হাতকড়া। এজন্য গর্ব অহংকারের আসলে কিছুই নেই। মহান আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছে ইজ্জত দেন আবার ইজ্জত ছিনিয়েও নেন। 

আর বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা সবাইকে ভাল বাসেন । তবে অন্যায় করলে কি দলীয় , কি পুলিশ কারোই ছাড় নেই।।। তার কাছে সবার আগে দেশ। সবার আগে নীতি। তাই তার আমলে নীতির বাইরে গেলেই বিপদ। তবে বাবুল আক্তার ন্যায় বিচার পান এবং তদন্ত নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হোক তা সবারই কাম্য। ঘটনার অন্তরালের ঘটনা বের হয়ে আসুক

আজ হতে পাঁচ  বছর আগে চট্টগ্রামে স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।সাবেক এই এসপিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা থেকে নেওয়ার পর মঙ্গলবার চট্টগ্রামের পিবিআই তাকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে। মুলতঃ ঢাকা হতে তাকে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী এলাকায় পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নেয়া হয় বলে জানান পিবিআইয়ের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার।

বনজ কুমার মজুমদার বলেছিলেন, মামলার বাদী হিসেবে বাবুল আক্তার মঙ্গলবার চট্টগ্রাম গেছেন।তিনি মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন।এটাকে জিজ্ঞাসাবাদ বা তদন্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া, যে কোনো কিছুই বলা যেতে পারে। আলোচিত এই হত্যা মামলা শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও চার্জশিট দিতে না পারায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলাটির তদন্ত ভার ডিবি থেকে পিবিআইকে  তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

ফিরে দেখা সেই দিনঃ-

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ও আর নিজাম রোডের বাসার অদূরে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। মোটরসাইকেলে আসা তিন হামলাকারী মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, গত কয়েক বছরে চাকরিকালীন সময়ে চট্টগ্রামে জঙ্গি দমন অভিযানে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন বাবুল আক্তার। আর এ কারণে জঙ্গিদেরই টার্গেটে ছিলেন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা। তবে ঘটনার দু’দিন আগে বদলিজনিত কারণে ঢাকায় আসেন এসপি বাবুল আক্তার। ঘটনার দিন ৫ জুন তার নতুন কর্মস্থলে যোগ দেয়ার কথা ছিল। আর এ দিনই ঘটে যায় মর্মান্তিক এ ঘটনা। এ ঘটনায় নানা জল্পনা-কল্পনার পর বাবুল আক্তারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর পর হতে বাবুল আক্তার মামলার তদন্ত চলছেই। তবে আশা ব্যাঞ্জক ভাবে তদন্তের অগ্রগতি খুবই পজিটিভ বলে জানা গেছে।

ক্রাইম ডায়রি// আদালত