সারাদেশে কিশোর গ্যাং- মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা

কিশোর অপরাধীদের সংশোধনের ওপর জোর দেওয়ার বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিশোররা কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়লেও তাদের যেন দীর্ঘমেয়াদে অপরাধী বানিয়ে না ফেলা হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সারাদেশে কিশোর গ্যাং- মোকাবিলায়  প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

কিশোর অপরাধীরা যেন সংশোধনের সুযোগ পায়। তাদের জন্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছেন। 

অনলাইন ডেস্ক:

বঙ্গকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিশোর গ্যাং মোকাবিলার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে সবাইকে যুক্ত হতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, অন্য অপরাধীদের মতো নয়, তাদের (কিশোর গ্যাং) ক্ষেত্রে যেন বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। কিশোর অপরাধীরা যেন সংশোধনের সুযোগ পায়। তাদের জন্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছেন। 

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এসব নির্দেশ দেন। বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে কথাগুলো বলেন। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কিশোর অপরাধীদের সংশোধনের ওপর জোর দেওয়ার বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিশোররা কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়লেও তাদের যেন দীর্ঘমেয়াদে অপরাধী বানিয়ে না ফেলা হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তাদের নিয়োজিত করার সুযোগ রাখতে বলেছেন । জেলখানায় যখন রাখা হয় তখন তাদের অন্য আসামিদের সঙ্গে রাখা না রাখার কথা বলেছেন সরকারপ্রধান। কিশোর অপরাধীদের সংশোধনের বিষয়ে একটি প্রকল্প নেওয়ার জন্য সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন।

দেশে এখন তিনটি সংশোধানাগার আছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এগুলো এখন ওভারলোডেড। এর সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সংশোধনাগারে আরও সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে বলেছেন, যাতে তারা সংশোধন হতে পারে। মাহবুব হোসেন বলেন, সমাজে, রাষ্ট্রে তারা যেন তাদের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পারে সেভাবে তাদের সংশোধন করতে হবে। কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে বলেছেন। কিশোর অপরাধীদের ব্যবস্থাপনায় অবশ্যই মনোবিজ্ঞানী বা কাউন্সেলিংয়ের বড় ভূমিকা রয়েছে। অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এ কাজে সম্পৃক্ত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

কিশোর অপরাধীর সংখ্যা তো অনেক বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইন স্বাভাবিক গতিতে চলবে। যখন কিশোর অপরাধীদের হ্যান্ডেল করব তখন যেন তাকে আরও অপরাধী না বানিয়ে ফেলি। সংশোধনের পরিবেশটা তাকে দেওয়া উচিত। জেলে থাকলেও যেন ভালো নাগরিক হয়ে বের হয়ে আসতে পারে, সে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংশোধনের সুযোগটা যাতে তারা পান। কিশোর অপরাধীদের হ্যান্ডেল করার সময় মনে রাখতে হবে, তারা ভবিষ্যতের নাগরিক। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অপরাধীদের সঙ্গে তাদের রাখা যাবে না। অবশ্যই তাদের জন্য বিশেষ কাউন্সেলিং ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখতে হবে। 

ক্রাইম ডায়রি/ জাতীয়